January 17, 2025, 2:06 am

সংবাদ শিরোনাম
শিবচরে খানকান্দি দৈয়দ আশরাফ আলী উচ্চ-বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ শিবচরে খানকান্দি দৈয়দ আশরাফ আলী উচ্চ-বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ টেকনাফ ২ বিজিবি”র অভিযানে আটক-৬ লক্ষ্মীপুরে তিন পুলিশ সদস্যকে পেটালেন সিএনজি চালকরা মধুপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেনাপোলে বিজিপি বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হারিয়ে যাওয়া মায়ের খোঁজে দিশেহারা সন্তানরা ভিসা জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে পরিবহন ব্যাবসার ধ্বস তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রজেক্টরে ভেসে উঠায় স্থানীয় জনতার প্রতিবাদ

শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে না পেরে গুজবের আশ্রয় নিয়েছে আ. লীগ: রিজভী

শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে না পেরে গুজবের আশ্রয় নিয়েছে আ. লীগ: রিজভী

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে পারছেন না বলেই প্রলাপ বকতে শুরু করেছেন, গুজবের আশ্রয় নিয়েছেন। গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন নেতারা তাঁদের নিজস্ব মিডিয়া দিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে নোংরা অপপ্রচারে মেতে উঠেছেন। ছাত্র আন্দোলনের সহিংসতায় বিএনপিকে জড়াতে তারা কুৎসিত অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। তিনি বলেন, গত ৬ আগস্ট দৈনিক জনকণ্ঠে একটি ছবি ছাপা হয়েছে, যে ছবিটি ৬ বছরের পুরোনো ২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি দৈনিক ভোরের কাগজে প্রকাশিত একটি ছবি। ছবিতে দেখানো হয়েছে ছাত্রদলের এক নেতার নাম, আসলে সে ছাত্রদলের নেতা নন, এটা ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের ছবি। ছবিতে যারা ছিল, তারা সবাই ছাত্রলীগ। জনমনকে বিভ্রান্ত করতে বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার জন্য সরকারি প্রোপাগান্ডা মেশিন দিন-রাত কাজ করছে। যেটার নজির গত ৬ আগস্ট জনকণ্ঠে দেখানো হলো। সরকারের প্ররোচনায় পত্রিকাটি গুজব রটিয়ে চলছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, তিনি কিন্তু বলেননি কী ধরনের শান্তি। হত্যা, গুপ্ত হত্যা, ক্রসফায়ার, গুম আর অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার ভয়ে আতঙ্কিত মানুষকে দেখে তিনি শান্তিময় বলতেই পারেন। কিন্তু সেটা যে কবরের শান্তি, গোরস্তানের নীরবতা, তা তিনি টের পান না ক্ষমতার উতায়। কিন্তু নীরব মানুষের ক্ষোভ যে ছাই চাপা আগুনের মতো ধিকিধিকি জ¦লছে এবং সেটা যেকোনো সময় কু-লী পাকিয়ে বিরাট আকার ধারণ করতে পারে, সেটির আঁচ পেরেই বেসামাল কথা বলছেন। বিএনপি নেতা বলেন, আমার প্রশ্ন এক-এগারোর কুশীলব কারা? তাহলে আপনারা কে? আপনাদের আন্দোলনের ফসলই তো এক-এগারো। আপনিই তো এক-এগারোর প্রক্রিয়াকে মহিমান্বিত করে তা ‘পাঠশালা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। আপনাদের আন্দোলনের ফসলের বিরুদ্ধে এখন বিরূপ মন্তব্য করছেন কেন? তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ১০ বছর আপনারা ক্ষমতায়। জনগণের ইচ্ছাকে হানাদার বাহিনীর মতো পদদলিত করে গণতন্ত্রকে নিশ্চিহ্ন করার পরও এক-এগারোর কুশীলব নিয়ে কথা বললে মানুষ মুখ টিপে হাসে। কারণ জোরে হাসলে গুম হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, গতকাল (গত মঙ্গলবার) সিইসি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম. নুরুল হুদা) বলেছেন নির্বাচনে অনিয়ম হবে না, সে নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। কেন নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না, কারণ ওবায়দুল কাদের সাহেবরা সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশও ধ্বংস করে দিয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, কাদের সাহেবরা যতই ধাপ্পাবাজি করুক না কেন, জনগণের কাছে জবাব দেওয়ার সময় হয়ে গেছে। জবাব দিতে হবে পাথর লুটের, কয়লা লুটের, ব্যাংক লুটের, শেয়ারবাজার লুটসহ সমস্ত আর্থিক খাত ধ্বংসের, অসংখ্য গুম-খুন বিচারবহির্ভূত হত্যার। জবাব দিতে হবে গণতন্ত্র হত্যার, রাজনীতি ধ্বংস করার, মানুষের ভোটাধিকার হরণের। রিজভী আরো বলেন, গতকাল (গত মঙ্গলবার) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ শিক্ষার্থীকে কোমরে দড়ি লাগিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এ যেন গোটা ছাত্রসমাজের কোমরে দড়ি বেঁধে টেনে নেওয়া হচ্ছে। এটা জাতির জন্য শুধু লজ্জার নয়, এ দৃশ্য দেখে মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছে। সরকার কতটা নিষ্ঠুর-নির্মম হতে পারে যে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের ন্যায্য আন্দোলনের দাবি দমন করতে তাদের গ্রেফতার করে পায়ে ডা-াবেড়ি ও কোমরে দড়ি দিয়ে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে কতটা নির্মমতার পথ বেছে নিতে পারে, এটি তার একটি নিকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি বলেন, এমন ন্যক্কারজনক দৃশ্যের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই। অবিলম্বে তাদের রিমান্ড বাতিল করে মুক্তি দিতে হবে। বিএনপি নেতা বলেন, চলমান ছাত্র আন্দোলন সরকারি সহিংসতার ছোবলে রক্তাক্ত। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে না নিয়ে এখন অবলম্বন করা হয়েছে নির্যাতনের পথ। দেখানো হচ্ছে নানা ধরনের নাটক ও প্রহসন। আন্দোলন শুরু হওয়ার দুদিন পর ওবায়দুল কাদের সাহেব বললেন, এবার মাঠে নামবে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগকে তো মাঠে নামানো হলো কী কারণে, তার নমুনা তো সারা দেশবাসী দেখল। নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের সশস্ত্র হামলা করতে ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করতেই তাদের নামনো হয়েছিল। রক্তাক্ত শরীরে ভয়ার্ত আর্তনাদে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে কোমলমতি শিক্ষার্থী আর সাংবাদিকদের।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর